দেবীগঞ্জ উপজেলার উত্তর পশ্চিম কোণে অবস্থিত অতীত ঐতিহ্যে ভরা শালডাঙ্গা ইউনিয়ন। এর পূর্বে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন, দক্ষিণে দেবীডুবা ও পামুলী ইউনিয়ন এবং উত্তর ও পশ্চিমে বোদা উপজেলা।
শালডাঙ্গা সুদূর অতীত থেকে শাল গাছের জন্য বিখ্যাত। করতোয়া তীরবর্তী এই অঞ্চলে পৌরণিক কাল থেকে শাল গাছের অরণ্য ছিল। রামায়নের যুদ্ধে এটি বিশেষ অস্ত্র হিসাবে শালগাছ ব্যবহৃত হয়েছিল। শালডাঙ্গার মাটি ও পানির নিচে এখনও অনেক শালগাছ উত্তোলিত হচ্ছে। জনশ্রুতি অনুযায়ী এগুলো নূহ্ নবীর প্রলংকরী বন্যার সময় মাটি ও পানির নিচে তলিয়ে যায়। শালডাঙ্গা এখন ও বিলুপ্ত প্রায় শাল বাগান আছে। ঐতিহ্যবাহী েএই শালগাছকে কেন্দ্র করে শালডাঙ্গার নামকরন হয়। আগে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন শালডাঙ্গার অন্তর্ভূক্ত ছিল।
শুধু দেবীগঞ্জ অঞ্চলেই নয় বরং সমগ্র দিনাজপুর অঞ্চলের মধ্যে প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল শালডাঙ্গা। মধ্যযুগে এটি ছিল উত্তর বাংলার একটি বিখ্যাত বন্দর। এখান থেকে শাল, শিশু কাঠ নৌকা ভর্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হত। বৃটিশ আমলে এ অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বন্দর ছিল এটি। সে সময় শালডাঙ্গা পাটের জন্য বিখ্যাত ছিল । বৃটিশ আমলে ইংল্যান্ডের Rally Brothers নামে একটি পাট কোম্পানী শালডাঙ্গা পাট ব্যবসা করত । সে সময় বেলিং মেশিন ছিল শালডাঙ্গায়। েএই মেশিনে এখান থেকে পাট বেলিং করে জলপাইগুড়ি হয়ে সেই পাট ইংল্যান্ডে ডান্ডি চলে যেত। তাছাড়া কলকাতা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি এলাকার সাথেও এর ভগ্নাবশেষ আছে। এছাড়া বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের মধ্যে শালডাঙ্গা প্রথম টেলিফোন লাইন ও পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়। দেবীগঞ্জ থানার মধ্যে প্রথম বিদ্যুৎ লাইনও স্থাপিত হয় এখানে তবে বর্তমানে স্থানটি তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস